নতুন ল্যাপটপ নাকি পুরাতন ল্যাপটপ কোনটি কিনবেন?

নতুন ল্যাপটপ নাকি পুরাতন ল্যাপটপ কোনটি কিনবেন?

ল্যাপটপ কেনার সময় নতুন ল্যাপটপ নাকি পুরাতন ল্যাপটপ কোনটি কিনবেন এই বিষয়টি নিয়ে  অনেকেই বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হন। পুরাতন ল্যাপটপ কিনলে কী কী সমস্যার সম্মুখীনহতে হবে এবং নতুন ল্যাপটপ কিনলে দামের পাশাপাশি কোন সুবিধাগুলো বেশি হবে তা জানা আবশ্যক। আপনি যদি একটি ল্যাপটপ কিনতে চান, তাহলে নতুন এবং পুরাতন এই দুইটি ল্যাপটপের চিন্তা প্রথমেই মাথায় আসবে।

নতুন ল্যাপটপ নাকি পুরাতন ল্যাপটপ কোনটি কিনবেন?

পুরাতন ল্যাপটপের দাম কম আবার কম দামের মাঝে অনেক ভালো কনফিগারেশনের ল্যাপটপ পাওয়া যায়। নতুন ল্যাপটপ কেনার সময় অল্প কনফিগারেশনের দাম একটু বেশি হয়ে থাকেঠিক একারণে অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যান যে, আমার নতুন ল্যাপটপ কেনা উচিত নাকি পুরাতন ল্যাপটপ কেনা হয়। এই বিষয়টি নিয়েই আজ আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। চলুন, মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।


পুরাতন ল্যাপটপ কি কেনা উচিত?

আর্থিক দিক বিবেচনা করে অনেকেই অল্প টাকার মাঝে ভালো কনফিগারেশনের একটি ল্যাপটপ কিনতে চান। অনেক ব্যবসায়ীরা ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায় হাইকনফিগারেশনের ল্যাপটপ বিক্রি করছে দেখে আপনিও কিনে নিলেন। এছাড়া, ল্যাপটপের সাথে ৫ বছরের সার্ভিসিং ওয়ারেন্টিও দিয়ে দিলো। আপনি তো বেজায় খুশি। কোনো কিছু বিবেচনা না করে পুরাতন ল্যাপটপটি কিনে নিয়ে বাসায় আসলেন।

এক মাস না যেতেই দেখেন আপনার ল্যাপটপ চার্জ নিচ্ছেনা, ডিসপ্লে আসতেছে না বা মাদারবোর্ড এর সমস্যা হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় জরুরি কাজ কীভাবে সম্পন্ন করবেন? পুরাতন ল্যাপটপগুলো সাধারণত বাইরের দেশ থেকে রিফার্বিশড হয়ে আমাদের দেশে আসে। অল্প দাম হওয়ার কারণে আমরাও এসব ল্যাপটপ কিনে ফেলি।

কিন্তু, কিছুদিন পর এই ল্যাপটপগুলোর আসল সমস্যা বের হওয়া শুরু করে তখন, সমস্যা জটিল থেকে আরও জটিল হতে শুরু করে। এমতাবস্তায় মনে হয়, নতুন ল্যাপটপ কেনাই তো ভালো ছিলো। যেকোন ব্র্যান্ডের ভালো মানের পুরাতন ল্যাপটপের দাম জেনে নিতে পারবেন বিডিস্টল থেকে। পাশাপাশি বিডিস্টলের নির্ধারিত সেলারের শো-রুমের থেকে ভালো মানের ইউজড ল্যাপটপ সংগ্রহ করতে পারবেন।

নতুন ল্যাপটপ নাকি পুরাতন ল্যাপটপ

কাজ করার জন্য কিংবা শখের বসে, যে কারণেই হোক না কেন, একটি ল্যাপটপ কেনার সময় দাম একটু বেশি নিলেও একটি নতুন ল্যাপটপ কেনা আবশ্যক। কারণ, পুরাতন ল্যাপটপ কেনার কিছুদিন পরেই সব সমস্যা বের হওয়া শুরু করে। নতুন ল্যাপটপ কিনলে কনফিগারেশন একটু কম হলেও ল্যাপটপটি আপনি নিশ্চিন্তে কয়েক বছর চালাতে পারবেন আলাদা করে কোনো প্রকার সার্ভিসিং এর চিন্তা না করেই।

নতুন ল্যাপটপ নাকি পুরাতন ল্যাপটপ

কিন্তু, পুরাতন ল্যাপটপ কিনলে যেকোনো সময় ল্যাপটপ ডেড হওয়া সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তখন, গুরুত্বপূর্ণ কাজ বন্ধ হয়ে যাবে এবং সবকিছু ফেলে ল্যাপটপ নিয়ে সার্ভিসিং সেন্টার যেতে হবে। এই ভোগান্তি পোহাতে না চাইলে ল্যাপটপ কেনার পূর্বে অবশ্যই একটি নতুন ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করুন। অনেকে বলতে পারেন যে, পুরাতন ল্যাপটপ কিনলে আমি তো অনেকদিনের সার্ভিসিং ওয়ারেন্টি পাচ্ছি, তাহলে সমস্যা কথায়? সার্ভিসিং ওয়ারেন্টি এবং পার্টস ওয়ারেন্টি এক বিষয় না।

পার্টস ওয়ারেন্টি পেলে আপনার ল্যাপটপের যেকোনো পার্টস এর সমস্যা হলে তা প্রয়োজনে তারা পরিবর্তন করে দিবেন। কিন্তু, সার্ভিসিং ওয়ারেন্টির ক্ষেত্রে পার্টস এর সমস্যা হলে তার খরচ আপনাকে বহন করতে হবে। পুরাতন ল্যাপটপগুলো দেখতে নতুনের মতো মনে হলেও এই ল্যাপটপগুলোর রিফার্বিশড হয়ে থাকে। দক্ষ কেউ যদি ল্যাপটপগুলো চেক না করে, তাহলে এগুলোর আসল সমস্যা বের করতে পারবেনা যা কেনার কিছুদিন পর দেখা যায়। 

নতুন ল্যাপটপের সুবিধা ও অসুবিধা

নতুন ল্যাপটপ কিনলে লেটেস্ট জেনারেশনের প্রসেসর সহ ল্যাপটপ পাওয়া যায়। লেটেস্ট জেনারেশনের প্রসেসর হওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় সকল অ্যাপ্লিকেশন সহজেই ইনস্টল করা যায় এবং ব্যবহার করা যায়। লেটেস্ট জেনারেশনের প্রসেসর এবং মেমরি ও গ্রাফিক্স কার্ড থাকার কারণে ল্যাপটপগুলো অনেক ফাস্ট হয়। নতুন ল্যাপটপ কিনলে কোম্পানি থেকে ওয়ারেন্টি দেয়া হয়ে থাকে

ফলে, যেকোনো সমস্যা হলে ওয়ারেন্টি পিরিয়ড এ তারা ফ্রিতেই সার্ভিসিং করিয়ে দিবে কিংবা রিপ্লেস করে দিবে। এছাড়া, নতুন ল্যাপটপগুলো আরামসে কয়েক বছর চালানো যায় কোনো প্রকার সার্ভিসিং না করেই। নতুন ল্যাপটপের একটি অসুবিধা হচ্ছে, এগুলোর দাম একটু বেশি হয়ে থাকে।

পুরাতন ল্যাপটপের সুবিধা ও অসুবিধা

পুরাতন ল্যাপটপের একটি সুবিধা হচ্ছে এর দাম কম হয়ে থাকে। কিন্তু, পুরাতন ল্যাপটপে লেটেস্ট জেনারেশনের প্রসেসর এবং মেমরি পাওয়া যায়না। তাছাড়া, এই ল্যাপটপগুলোতে লেটেস্ট ভার্সনের অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করা যায়না এবং ব্যবহার করা যায়না। পুরাতন ল্যাপটপ কিনলে যেকোনো সময় ল্যাপটপ ডেড হয়ে যাওয়া সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এই ল্যাপটপগুলোতে সার্ভিসিং ওয়ারেন্টি দেয়া হয়ে থাকে। ফলে, আপনার ল্যাপটপের যদি কোনো পার্টস নষ্ট হয়, তারা সেটি রিপ্লেস করে দিবেনা। যা আপনি নতুন ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ফ্রিতেই পেতেন। পুরাতন ল্যাপটপ কিনলে কিছুদিন পর পর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। 

শেষ কথা

ল্যাপটপ কেনার সময় নতুন ল্যাপটপ নাকি পুরাতন ল্যাপটপ কোনটি কিনবেন এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় থাকেন। এই ব্লগ পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে আশা করছি এই দ্বিধা দূর হয়ে যাবে। ল্যাপটপ কেনার সময় একটু বেশি দাম দিয়ে হলেও নতুন ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Motivational Spech কে আপনার অনুভূতি জানান

comment url